
মাদক আত্মসাৎ ও গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগে ভৈরব থানার এসআই মহসীনকে ক্লোজড করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করার নির্দেশ দেন। রাতে নির্দেশ থানায় পৌঁছলে আজ রোববার সকালে তাকে ভৈরব থানা থেকে রিলিজ দেয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গত চারদিন আগে এসআই মহসীন শহরের নদীর পার এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করার পর আত্মসাৎ সেই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
এছাড়া গত ১৫ মার্চ আফজাল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করার পর তাকে খুনের মামলার আসামি করা হবে ভয় দেখিয়ে তার বাবার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা আদায় করে।
এসআই মহসীন বিগত জানুয়ারি মাসে শহরের আমলাপাড়া এলাকার জুয়েল নামের অপর এক যুবককে আটক করে ৩৮ হাজার টাকা গ্রেফতার বাণিজ্য করে। এর আগে শহরের নিউটাউন এলাকার যুবক কবিরকে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে আটক করে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নেয়। পরে বিষয়টি থানায় জানাজানি হলে ওসির চাপে এস আই মহসীন ওই যুবককে ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অভিযোগ থেকে রেহাই পায়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন জানান, এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পুলিশ সুপার মহোদয় শনিবার জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। তাকে আজ রোববার সকালে থানা থেকে রিলিজ করার কথা তিনি স্বীকার করেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, পুলিশ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এর আগে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এস আই মহসীনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। করোনার কারণে তদন্ত কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তার সব অভিযোগ তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অফিসিয়াল বিধি অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। এখন তাকে আপাতত জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হলো বলে তিনি জানান।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply