
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালের হোমিওপ্যাথিক বিভাগ রয়েছে। সরকারিভাবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে দেয়ার নিয়ম যেখানে।
মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি এই বিভাগ থেকেই সরকারি ওষুধ সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে এখানেই।
অথচ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. লিটন চৌধুরী অধিকাংশ ওষুধ তার নিজস্ব ফার্মেসী থেকে নিতে রোগীদের প্রতিনিয়ত বাধ্য করছেন। তিনি সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দিলে সেই ওষুধ তার দোকান থেকে সরবরাহ করতে বাধ্য করছেন রোগীদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল সদর হাসপাতালের গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় ১০৪নং কক্ষের সামনে রোগীদের ভীড়। কক্ষের ভেতরে রোগী দেখছেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক লিটন চৌধুরী।
চিকিৎসককে দেখানো একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক লিটন চৌধুরী তাদের দেখে কিছু ঔষধ হাসপাতাল থেকে দিয়েছেন।
পাশাপাশি একই প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে বলেছেন, জেলা শহরের কালাইশ্রী পাড়ার ‘মা মেডিকেল কেয়ার’ এ গিয়ে ওষুধগুলো ক্রয় করতে।
এর মাঝে কয়েকজন পুরাতন রোগী জানান, তারা ইতোপূর্বে এই কক্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। চিকিৎসকের বলা ওই দোকানে গেলে ৬০০ টাকা থেকে হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। চিকিৎসক লেখায় ওষুধগুলো বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে তাদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক লিটন চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ওষুধের দোকানটি আমার নয়। আমি সেখানে বিকেলে বসি মাত্র।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, হাসপাতালে যে ওষুধ সেটা দেবেন। অন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কথা বলার নিয়ম নেই।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply