অলিম্পিকে দেখা মিলতে পারে টি-২০ ফরম্যাটের ক্রিকেট। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সকল ইনডোর ও আউটডোর স্পোর্টিং ইভেন্টের ক্রীড়াযজ্ঞ হলো অলিম্পিক। কিন্তু সকল স্পোর্টস ইভেন্টের দেখা মিললেও অলিম্পিকে নেই ক্রিকেট। ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে
অবশ্য প্রথম ও শেষবার দেখা গিয়েছিল ক্রিকেটকে। এরপরই অলিম্পিকে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলাটি।
অলিম্পিককে বলা হয় মাদার অফ অল স্পোর্টিং ইভেন্টস। ফুটবল, জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, স্প্রিন্ট, টেবিল টেনিস থেকে শুরু করে এক কথায় পৃথিবীর সকল ইনডোর ও আউটডোর স্পোর্টিং ইভেন্টের দেখা মেলে এই আসরে। কিন্তু এর মাঝেও নেই ক্রিকেট।
১২১ বছর আগের প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম ও শেষবারের জন্য বসেছিল ক্রিকেট আসর। সেখানে দুইদিনের টেস্ট ক্রিকেট হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। দুই দিনের সেই টেস্টে ফ্রান্সকে ১৫৮ রানে হারায় গ্রেট ব্রিটেন। কিন্তু মাত্র দুই দেশ অংশ নেয়ার ফলে দুটি পদকই সেবার দিতে পেরেছিল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
ক্রীড়াবিদেরা মনে করেন ক্রিকেট এখনো একটি বৈশ্বিক খেলা হয়ে উঠতে পারেনি। তাই একাধিক দেশ নিয়ে ক্রিকেটকে একটি ইভেন্ট হিসেবে রেখে তা আয়োজন করার দায় নিতে চায়নি আয়োজকরা।
এছাড়াও অন্যান্য খেলা থেকে ক্রিকেট একটি ভিন্ন নিয়মের খেলা। যে দেশে অলিম্পিক আয়োজন করা হবে সেখানে ক্রিকেট পিচ, মাঠের দৈর্ঘ্য মেনে মাঠ বানানো হবে ব্যয়বহুল। তাছাড়া সেই মাঠ অলিম্পিক শেষে থেকে যাবে অব্যবহৃত।
টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেট ইভেন্ট বেশ সময়সাপেক্ষ হবারই কথা। তাই ক্রিকেট ইভেন্ট এত দিন বাদ দেয়া হয়েছিল অলিম্পিক থেকে। কিন্তু ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাট আসার পর থেকে অলিম্পিকে ক্রিকেট ইভেন্ট রাখার একাধিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রথমে একাধিক দেশ এর বিরুদ্ধে মত দিলেও অলিম্পিকে সকলেই এখন ক্রিকেটকে চায়। যার ফলস্বরূপ ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে আইসিসি।
/এমই
Leave a reply