মহামারিতে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ কতদূর?

|

মহামারিতেও এগিয়ে চলেছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। যদিও ব্যয় খানিকটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালেই উৎপাদনে যাবে বারোশ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই মেগা প্রকল্পটি।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি। বাংলাদেশসহ তের দেশের সাড়ে সাত হাজার মানুষ দিনরাত কাজ করছে এখানে। তাদের শ্রমে বঙ্গোপসাগরের কোলে এখন অনেকটাই দৃশ্যমান মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল অবকাঠামো।

প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় চার বছর আগে। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বন্ধুরাষ্ট্র জাপান। পরিকল্পনা রয়েছে প্রথম ধাপে দুটি ইউনিট চালুর। যার প্রতিটি থেকে আসবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এরকম আরও দুটি ইউনিট করতে চায় কোল পাওয়ার কোম্পানি, তাহলে এখান থেকে আসবে দুই হাজার চারশ মেগাওয়াট। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের ৫৫ ভাগের বেশি কাজ শেষ বলে জানিয়েছেন মাতাবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন।

আমদানি করা কয়লা দিয়ে চলবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেজন্য খনন করা হয়েছে ১৮.৫ মিটার গভীর চ্যানেল। কয়লা আর জ্বালানি তেল খালাসে তৈরি হয়েছে আলাদা জেটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কেন্দ্রটিতে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের বড় জ্বালানি হাব হবে এই মাতারবাড়ি এলাকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply