
ছবি: সংগৃহীত
কানাডার ভ্যানকুভার শহর থেকে ১৬২ মাইল উত্তর-পূর্বের গ্রাম লিটন গত জুন মাসের শেষ দিকে উঠে আসে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে। ওই সময় গ্রামটির তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ইতিহাসে এর আগে কখনও এই পরিমাণ তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়নি কানাডা।
প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রামটি ভয়ানক দাবানলের মুখে পড়ে। গ্রামের ৯০ শতাংশই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গোটা একটি গ্রাম হয়ে যায় ধুলিসাৎ। খবর বিবিসির।

লিটন নামের এই গ্রামে ২৫০ জন অধিবাসী ছিলেন। আশেপাশের এলাকায় সব মিলিয়ে এক হাজার মতো আদিবাসীর বসবাস ছিল। স্থানীয়রা জানান, গ্রামটি ছিল খুব শান্ত। গ্রামবাসীদের মধ্যেও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল সবসময়। এখানে প্রায় সবাই সবাইকে চিনতো। তবে এখন এই গ্রামের যেদিকে চোখ যায়, কেবল আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামের ধ্বংসাবশেষই চোখে পড়ে।
লিটন গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, ওই সময় যে গরম পড়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না। আমরা ভোর ৪টায় উঠে যাবতীয় কাজগুলো আগেভাগেই সেরে রাখতাম। কারণ তীব্র গরমের মধ্যে দুপুরে কাজ করা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘরের ভেতর থাকার চেষ্টা করতেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। আমাদের জমানো সব কিছু আগুনে পুড়ে এখন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

শুধু লিটন নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই সম্প্রতি ব্যাপক দাবদাহ এবং দাবানলের ঘটনা ঘটছে। শীতপ্রধান অঞ্চলে একদিকে যেমন অসহ্যকর গরম অনুভূত হচ্ছে, অন্যদিকে বরফে ঢাকা গ্রিনল্যান্ডেও মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথমবার বৃষ্টি হয়েছে।
সবমিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের এই অশনি সংকেত যে দিনদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তা অবগত বিশ্বনেতারা। তাই এখন জলবায়ুবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। তবে এর চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য কাজ করতে হবে প্রত্যেককে।



Leave a reply