
এক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক লাখ টাকা। পরে সমন্বয়ের পর দেখা গেছে তার বিল ১৬২ টাকা। গোপালগঞ্জে এমন ভুতুড়ে বিল আসছে আরও অনেকের। গেল কয়েক মাসে তীব্র লোডশেডিংয়ে যখন গ্রাহকরা অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই মরার ওপর খাড়ার ঘা। সাধারণের চেয়ে বিল এসেছে ৪-৫ গুণ বেশি। কারো কারো ক্ষেত্রে তা লাখ ছাড়িয়েছে।
গোপালগঞ্জে এখন ভোগান্তির আরেক নাম বিদ্যুতের এই ভূতুড়ে বিল। ব্যবহারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বিল গ্রাহকদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ওজোপাডিকো।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কোনো মিটার রিডার বাড়িতে না এসেই তৈরি করেছে এসব বিল। আগের বিলের কিছু অংশ বাদ থেকে যাওয়ায়, মিটারে বেড়েছে ইউনিটের সংখ্যা। সেইসাথে বেড়েছে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও সুরাহা পাচ্ছেন না বলে দাবি বেশিরভাগ গ্রাহকের।
এসব বিল সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মনিম বললেন, ডিসেম্বর থেকে প্রিপেইড মিটার চালু হলে এই ভোগান্তি আর থাকবে না।
গোপালগঞ্জে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। ভোগান্তি ও হয়রানি কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ এমনটিই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply