জয়পুরহাটের র‍্যাটম্যান আনোয়ার

|

যত্নে লালিত ফসলের ভাগ কেই বা দিতে চায় ইঁদুরকে! ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করাটাও বেশ দুষ্কর। কৃষি বিভাগের হিসেবে, প্রতিবছর উৎপাদিত ফসলের ১০ থেকে ১৫ ভাগ ফসল যাচ্ছে ইঁদুরের পেটে। বিষ প্রয়োগসহ নানান কৌশলেও কাজ হচ্ছে না। কিন্তু অতি সহজ পদ্ধতিতেই এই অসাধ্য সাধন করে যাচ্ছেন জয়পুরহাটের তিলকপুর গ্রামের এক কৃষক। ২৮ বছর ধরে ইঁদুর নিধন করে যাচ্ছেন তিনি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও।

ছেলেবেলায় ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান বের করার কৌশল রপ্ত করেন আক্কেলপুরের ভট্রপালাশী গ্রামের আনোয়ার হোসেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফসল বিনাশী ইদুর শিকারে বেশ দক্ষ হয়ে ওঠেন আনোয়ার। নেশা থেকে একসময় ইঁদুর বিনাশই হয়ে ওঠে তার পেশা, নাম ছড়িয়ে পড়ে ইঁদুর আনোয়ার হিসেবে। দূর দূরান্ত থেকে আনোয়ারের ডাক আসে ইঁদুর পাকড়াও করার জন্য।

যে কোনো ধরনের ফসল ক্ষেত, বাড়ি বা গাছের ইঁদুর ধরতে সিদ্ধহস্ত আনোয়ার। নিজের বুদ্ধিতে উদ্ভাবন করেছেন বালু আর পাইপের ফাঁদ। এখন গ্রামের উৎসাহীদের ইদুর নিধনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন আনোয়ার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আনোয়ার। আগামীতে তার জন্য সরকারি সহযোগিতার আশ্বাসও দিলেন এই কর্মকর্তা।

আটাশ বছর ধরে ইঁদুর নিধন করে চলেছেন কৃষকের বন্ধু আনোয়ার হোসেন। ৫৭ জনকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করেছেন তিনি। আনোয়ার জানালেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কৃষিখাতে তার এই ভূমিকাকে আরও বিস্তৃত করবেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply