ধোনি-শেবাগ না থাকলে দল জায়গা হতো না কোহলির

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের কাছে আফগানিস্তান হেরে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ভারতকে। ভারতের বিদায়ের পরে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম জুড়ে ট্রেন্ডিং বিরাট কোহলি।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়ার পর থেকেই ভারতের অধিনায়ক সম্পর্কে প্রকাশিত হচ্ছে নানা খবর। সাবেক ক্রিকেটাররা অজানা গল্প বের করছেন তাদের ঝুলি থেকে। এরকমই একটি ঘটনা বলেছেন বীরেন্দর শেবাগ।

শেবাগ জানান, ভিরাট কোহলি এখন বিশ্বের সেরা ব্যাটার। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক সিরিজে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলে রান করেন মাত্র ৭৬। তার পরেই তাকে দল থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই বছরের শেষের দিকে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে আবারও দলে ফেরেন কোহলি।

পরের বছর অস্ট্রেলিয়া সফরেও যান কোহলি। সেই সিরিজে অন্যান্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মতোই তিনিও সামলাতে পারছিলেন না অজি বোলারদের। তৃতীয় টেস্টের ঠিক আগে তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় ভারতীয় দলের সাজঘরে। তাকেই হয়তো বসাতেন নির্বাচকরা। কিন্তু সেই যাত্রায় কোহলির পাশে এসে দাঁড়ান বীরেন্দর শেবাগ ও অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।

২০১৬ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময়ে ধারাভাষ্যকার শেবাগ সেই কাহিনি তুলে ধরে বলেছিলেন, ২০১২ সালে পার্থে নির্বাচকরা কোহলির জায়গায় রোহিত শর্মাকে খেলাতে চেয়েছিলো। সেই সময়ে আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম। ধোনি ছিল অধিনায়ক। আমরা কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তার পরের ঘটনা তো ইতিহাস।

সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করেছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৭৫ রান। ভারত অবশ্য সেই টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছিলো ইনিংস ও ৩৭ রানে। চতুর্থ টেস্টে শতরান করেন কোহলি। ত্রিদেশীয় সিরিজেও কোহলির দুর্দান্ত ফর্ম বজায় ছিল। ৮টি ম্যাচে ৩৭৩ রান করেন কোহলি। ত্রিদেশীয় সিরিজে কোহলির দুরন্ত ফর্মের জন্যই এশিয়া কাপে সহ-অধিনায়ক করা হয় তাকে।