
একদিকে বছর শেষ অন্যদিকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ৩টি নতুন আইপিওর অনুমোদন। সব মিলিয়ে তারল্য সংকট পুঁজিবাজারে। টানা দরপতন চলছে ডিএসই ও সিএসইতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বর ঘিরে বরাবরই পুঁজিবাজারে কিছু মন্দা থাকে। এ অবস্থায় নতুন বছরে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দরপতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। এ সময়ে সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় সাড়ে ৩শ পয়েন্ট। লেনদেন নেমে এসেছে ৭শ কোটি টাকার ঘরে। বাজার মূলধন কমেছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অনেক আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন নেই। যে কারণে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আস্থাহীনতা। স্বল্প সময়ে ৩টি আইপিওর অনুমোদন দেয়ায় তারল্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলেও মন্তব্য তাদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শেষ মাসে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হিসাব সমন্বয় করে থাকে। যে কারণে এ সময়ে কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ থাকে বেশি। যার প্রভাব পড়েছে লেনদেনের ওপর। তবে নতুন বছরের শুরুতে এ সংকট কেটে যাবে বলেও আশা তাদের।
লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মার্চেন্ট ব্যাংকাররা। এখন কম দামে শেয়ার বিক্রিতে অনেকে আগ্রহী নয় বলেও মনে করেন মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান।
মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নতুন আইপিওর কারণে তারল্য সংকট তৈরি হয়নি বরং এটি পুঁজিবাজারের গভীরতা আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তারা।
এদিকে শুরু হয়েছে বাজেট সংশোধনীর কাজ। এক্ষেত্রে নানাবিধ দিকনির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। করোনা সংকটে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পথে ছিল সরকার। নতুন পরিপত্রেও আছে লাগাম টানার বার্তা। মূলত ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
/এডব্লিউ
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply