কিশোরগঞ্জে হঠাৎ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ

|

হঠাৎই কিশোরগঞ্জের পোল্ট্রি খামারগুলোতে হাইলি প্যাথজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও কাজে আসছে না। মরে গেছে হাজার হাজার মুরগি। কয়েক কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। কর্মহীন হয়ে পড়েছে খামার সংশ্লিষ্ট শতাধিক কর্মী।

কিছুদিন আগেও যে পোল্ট্রি শিল্প ছিল কর্ম এবং উৎপাদন মুখর, সেখানে আজ বাসা বেঁধেছে সুনশান নীরবতা আর হাহাকার। এর ভয়াবহতা এতোটাই প্রবল যে, শুধুমাত্র একটি পোল্ট্রি খামারেই ৬২ হাজারেরও বেশি লেয়ার মুরগি মারা যাওয়ায় ৪ কোটিরও বেশি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছে এ খামারের শতাধিক কর্মী।

চিকিৎসকরা বলছে সর্বোচ্চ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও কোনো কাজে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় অর্থ লগ্নিকারী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর তাগিদ ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের।

কিছুদিন আগেও শ্রমজীবী নারী-পুরুষের কর্ম এবং উৎপাদন চাঞ্চল্যে মুখর ছিল কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কামালপুরের স্বপ্ন অ্যাগ্রো ফার্ম ফ্যাক্টরির লেয়ার মুরগি ফার্ম। শতভাগ বায়ু সিকিউরিটি সম্পন্ন ফার্মটিতে লালনপালন করা হতো লেয়ার মুরগি। কিন্তু হঠাৎ করে এ ফার্মের ১১টি লেয়ার সেটে হাইলি প্যাথজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ ইনফ্লুয়েঞ্জার ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে। খামার সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে প্রতিষেধক ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। তবে তাতেও ঠেকানো যায়নি মৃত মুরগির ঢল।

কিছু মুরগির ময়নাতদন্ত করে পাওয়া যায় ভয়াবহ ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ভাইরাস। চিকিৎসকরা বলছে সর্বোচ্চ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও কোনো কাজে আসছে না।

এ ঘটনায় ডিম পাড়া শুরু করার সময় ৯ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ২০ ও ২৩ সপ্তাহ বয়সী ৬২ হাজার ৬২৬ টি লেয়ার মুরগী মারা যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ১২৮ টাকা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply