পীরজাদা হারুন। ফাইল ছবি।
পীরজাদা হারুন মন্তব্য করেছেন, শিল্পী সমিতি মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হয়েছে। আজকে সে, কালকে ও বসছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যমুনা টেলিভিশনের আমজনতা অনুষ্ঠানের ‘ফিল্মি নির্বাচন!’ শিরোনামের পর্বে যুক্ত হয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির ভোটের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন এই অনুষ্ঠানে বলেন, আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের পরদিন ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর আপিল বোর্ডের হাতে আর কোনো ক্ষমতা নাই। ৩০ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতেও কোনো ক্ষমতা নাই। এরপর আপিল বোর্ড বা নির্বাচন কমিশন আর কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন না। এ নিয়ে কেবল আদালতই আদেশ দিতে পারবেন।
নির্বাচনে শিডিউল মানতে হবে উল্লেখ করে বলেন, সোহানুর রহমান সোহান যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা ঠিক নয়। সোহানুর রহমান সোহান তথ্য গোপন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে নির্বাচনের গঠনতন্ত্রের নির্দেশনার বিষয়ে উল্লেখ করেনি বলেও জানিয়েছেন পীরজাদা হারুন।
নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার প্রসঙ্গে পীরজাদা হারুন জানান তাতেও নিয়ম মানা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনারই শপথ পড়াবেন। সোহানুর রহমান সোহান এক্ষেত্রেও ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে এই অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বলেন, শপথ পড়ানোর সময় দুইজন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সোহানুর রহমান সোহান সিদ্ধান্ত দেন, মিশা সওদাগর শপথ পড়াবেন ইলিয়াস কাঞ্চনকে। আর ইলিয়াস কাঞ্চন অন্যদের শপথ পড়াবেন।
এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেরিতে ঘোষণার বিষয়ে জানান, আগের নির্বাচনগুলোতেও ফলাফল দিতে দেরি হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক হন জায়েদ খান। তবে এর পরপরই ফলাফল না মেনে প্রথমে এই ভোটের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন নিপুন। তাতেও ফলাফল পরিবর্তন হয়নি। পরে আপিল বোর্ডে অভিযোগ করলে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। আর সাধারণ সম্পাদকের পদে জয় পান নিপুন। পাশাপাশি সদস্য পদে জয় পাওয়া চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
তবে আপিল বোর্ডর এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। এর প্রাথমিক শুনানি শেষে এদিন দুপুরে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে নিপুন আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
Leave a reply