
চলছে বইমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রতি ফেব্রুয়ারির পরিচিত অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। পাঠক, লেখক, প্রকাশকের যার যার আগ্রহের বিষয়বস্তু আলাদা হলেও সবারই আগ্রহ ও অপেক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এই প্রাণের বইমেলা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে না হলেও অর্ধেক মাস যাওয়ার পর আগামী ১৫ তারিখ হতে শুরু হতে যাচ্ছে এই গ্রন্থমেলা। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারও থাকছে অনেক ছন্দপতন।
নতুন মলাটের ভেতর কালো অক্ষরের চিরচেনা গন্ধ, যার মাদকতায় পাঠক খুঁজে বেড়াবে নতুন সৃষ্টি, কিংবা পুরোনো লেখাটাই নিজের জন্য আলাদা করে রাখার ক্ষণ। আকুল অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন লেখক-প্রকাশক, কখন হাঁটবে তারা পাঠকের সাথে যোগাযোগের সেই সেতুটায়। তবে করোনা সংক্রমণ ১৫ শতাংশের উর্ধ্বে চলে যাওয়ায় চিরাচরিত দৃশ্যপটে খানিক ছন্দপতন ঘটেছে।
বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, প্রস্তুতির কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এবার আমরা ৮ দিন সময় পেয়েছি। এখন রাতদিন কাজ চলছে। রাতে যেন বইমেলার দুটি অঙ্গনেই পর্যাপ্ত আলো থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার কাজ এগিয়ে চলছে প্রত্যাশামাফিক গতিতে। যে কিছুদিন বাকি আছে, তার মধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
পাঠকরাই এ মেলার প্রাণ। তাই তো সব শঙ্কা দূরে ঠেলে সফল সমাপ্তিতে তাদের সহযোগিতা চান আয়োজকরা। বাংলা একাডেমির পরিচালক জানান, কর্মী, মালিক, প্রকাশকদের করোনা টিকা দেয়া থাকতে হবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে সবাইকে করোনা প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি।
এবার ৫২০টি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। সময় আর খুব বেশি বাকি নেই। তাই কারিগরদের বিরামহীন কর্মযজ্ঞ চলছে। সব স্টলেরই কমবেশি কাঠামোর কাজ শেষ। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে সকল প্রস্তুতি।



Leave a reply