মিলছে না কাঙ্ক্ষিত দাম, চুয়াডাঙ্গায় কমছে পানের আবাদ

|

হাটে পান ব্যবসায়ীরা।

চুয়াডাঙ্গায় প্রতি বছরই কমছে পানের আবাদ। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি আর কাঙ্ক্ষিত দাম না মেলায় জেলার প্রধান এই অর্থকরী ফসল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কৃষক। এখন অন্য ফসলে ঝুঁকছেন তারা। নতুন করে বড় দরপতনে পান চাষ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। কৃষি বিভাগ বলছে, পানের তুলনায় ভালো লাভ পাওয়ায় অন্য ফসল আবাদেই কৃষকের আগ্রহ বেশি।

চুয়াডাঙ্গার সবক’টি উপজেলাতেই কম-বেশি দেখা মেলে পানের বরজের। এক সময় এই পান চাষকে ঘিরেই ঘুরেছে অর্থনীতির চাকা। কাগজে-কলমে এখনও জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল পান। তবে পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই কমছে পানের আবাদ। ২০১৮ সালে যেখানে পান চাষ হয় ১ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমিতে, চলতি বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩৩ হেক্টরে। ধান, ভুট্টাসহ অন্য ফসলে ঝুঁকছেন চাষীরা।

সম্প্রতি বড় ধরনের দরপন ঘটেছে পানের বাজারে। প্রতি হাটেই কমছে দাম। কয়েক সপ্তাহ আগে যে পান প্রতিপণ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, তা নেমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অন্য ফসলে পানের চেয়ে ভালো লাভ মেলায় সেদিকে ঝুঁকছেন অনেকে। আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষে আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। চুয়াডাঙ্গায় গেত বছর ২০০ কোটি টাকারও বেশি পান কেনাবেচা হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply