
প্রতীকী ছবি।
বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালের গৌরনদীতে ৪৫ দিন বয়সী শিশু কন্যা রুকাইয়া হত্যার রহস্য ছয়দিন পর উদঘাটন করা হয়েছে। জিনের নির্দেশে রুকাইয়ার মা সিমা বেগম (২৬) তাকে গলাটিপে হত্যার পর পুকুরে নিক্ষেপ করেছে বলে পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় নিহত রুকাইয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেনের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিমা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে গৌরনদী উপজেলার কমলাপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান সিমা বেগম। তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার বাদুরতলা উমেদআলী গ্রামে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঘর থেকে নিখোঁজ হয় শিশু রুকাইয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সামনের পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হলে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সিমা বেগমের স্বামী ও রুকাইয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন-অর রশিদ বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত হই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে তার মা জড়িত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার রাতে মা সিমা বেগমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি শিশু রুকাইয়াকে গলা টিপে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
এসআই হারুন আরও জানান, সিমা বেগম পুলিশকে জানিয়েছে তার কাছে নিয়মিত জিন আসে। তখন তিনি জিনের নিয়ন্ত্রণে চলে যান। জিনের নির্দেশেই মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন তিনি।
জেডআই/



Leave a reply