
ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থেকে হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের তিনদিক থেকেই সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। বিমান হামলা তো আছেই, স্থল ও নৌপথেও আক্রমণ শাণাচ্ছে রাশান সেনাবাহিনী। প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও।
যদিও রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সাথে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পাল্লা দেওয়ার সক্ষমতা রাখে না। যেখানে রাশিয়ার হাতে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। সেখানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিশ্বের ২২তম শক্তিশালী।
রাশিয়ার সক্ষম সামরিক সদস্য আছে সাড়ে আট লাখের মতো। যেখানে ইউক্রেনের আছে আড়াই লাখের মতো সামরিক সদস্য। রাশিয়ার সামরিক বহরে ট্যাঙ্ক আছে সাড়ে বারো হাজারের মতো। আর ইউক্রেনের হাতে আছে ছাব্বিশ’শর মতো ট্যাঙ্ক। সামরিক যানের সংখ্যা রাশিয়ার ত্রিশ হাজারেরও বেশি। যেখানে ইউক্রেনের সামরিক যানের সংখ্যা মাত্র বারো হাজার। রাশিয়ার কাছে আর্টিলারি গান আছে চৌদ্দ হাজারের মতো। আর ইউক্রেনের এই অস্ত্রসংখ্যা তিন হাজারের কিছু বেশি।
নৌ শক্তিতে রাশিয়ার ধারেকাছেও নেই ইউক্রেন। রাশিয়ার কাছে আছে ছয়শটির বেশি নৌবহর। ইউক্রেনের নৌবহরের সংখ্যা মোটে ৩৮টি। রাশিয়ার হাতে ৭০টির মতো সাবমেরিন থাকলেও ইউক্রেনের নৌবাহিনীর হাতে নেই কোনো সাবমেরিন।
আরও পড়ুন: যে কারণে সশস্ত্র রুশ সেনাকে সূর্যমুখী বীজ দিলেন ইউক্রেনীয় নারী (ভিডিও)
যদিও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল পেয়ে আসছে ইউক্রেন। এছাড়াও গত ডিসেম্বর থেকেই ইউক্রেনকে শতশত জ্যাভেলিন মিসাইল দিয়ে আসছে দেশটি। যা রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধ্বংসে ইউক্রেনের বাহিনীকে সাহায্য করবে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জেডআই/



Leave a reply