
দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম ফলক উন্মোচন করেন।। কোভিড মহামারি শুরুর পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ছাড়া অন্য কোথাও এটিই তার প্রথম সফর। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত হয়েছে এটিই স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীর বড় প্রাপ্তি। আজকের দিনটি আলোর পথে যাত্রা শুরুর দিন। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা পূরণের দিন।
উদ্বোধনের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতার স্মারক হিসেবে ১৩২০টি পায়রা এবং বেলুন ওড়ানো হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনের পর সেখানে সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উপহার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বজন হারানোর শোকই প্রেরণা দিয়েছে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার প্রতিজ্ঞা। বাংলাদেশের চলার গতি আর কেউ থামাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অর্জিত অভিজ্ঞতার কারণে ভবিষ্যতে আর কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না বাংলাদেশকে। দেশের একটি মানুষকেও আর অন্ধকারে থাকতে হবে না। গৃহহীন থাকবে না কেউ। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ চলছে বলেও দাবি করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, পায়রা নদীর তীরে এক হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
/এডব্লিউ
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply