মানিকগঞ্জে স্কুলের ভেতরে পিকআপভ্যান চাপায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে তালা ঝুলছে ওই প্রতিষ্ঠানে। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। এ অবস্থায় স্কুলটি আবার কবে চালু হবে তা জানা নেই কারও। লেখাপড়া নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পড়েছে চার শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
স্কুলের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। আঙিনায় জমেছে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আব্দুল আলীম মেমোরিয়াল স্কুলের এখন এমনই চিত্র।
স্কুলের ভেতরে পিকআপভ্যান চাপায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিহতের পর থেকে পলাতক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। তাই বন্ধ পাঠদানসহ সবধরনের কাযর্ক্রম। স্কুল কবে খুলবে তা জানে না কেউ। তাই চারশতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে জেকে বসেছে দুঃশ্চিন্তা।
২০১৭ সালে নিজ জমিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন শহিদুর রহমান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানালেন, প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পযর্ন্ত কাযর্ক্রম চললেও স্কুলটির অনুমোদন ছিল না।
প্রাণহানির ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠান প্রধান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও চালকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আব্দুল আলীম মেমোরিয়াল স্কুলের ভেতরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পিকআপ ভ্যানের চাপায় প্রাণ হারান শিক্ষক ফাতেমা নাসরিন ও শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম। অভিযোগ আছে, টাকার বিনিময়ে পিকআপ পার্কিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
/এডব্লিউ
Leave a reply