
পাচারের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক নিজ দেশে ফিরেছেন। তাদের প্রত্যেকেই মানিসক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেন তারা। দুপুরেই আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপেজলার সন্তোষ দেব, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপেজলার বিজয় চুন্নু, মানিকগঞ্জে সিঙ্গাইর উপেজলার ময়না বেগম, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপেজলার রোজনা বেগম এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপেজলার কুলসুম বেগম।
তাদের মধ্যে ৭বছর আগে হারিয়ে যান সন্তোষ দেবকে হারিয়েছেন। সাত বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন ছেলে অন্তু দেব। অপরদিকে এক যুগ (১২ বছর) আগে হারিয়ে যায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপেজলার কোড়ালিয়া গ্রামের রোজিনা বেগম।
নারায়নগঞ্জের বন্দর এলাকায় আব্দুল খালেকের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন বিজয় চুন্নু আট বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তার স্বজন জাহাঙ্গীর আলী ও আব্বাস উদ্দিন জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় কিভাবে পৌঁছালো সেটা নিয়ে তারাও আশ্চর্য।
কুমিল্লার চান্দিনা উপেজলার নাজিরপুর গ্রামের লিটন সরকারের স্ত্রী কুলসুম বেগম। তাকেও ফিরে পায় পরিবার। কীভাবে ভারত পৌঁছাল জানাতে পারেনি নিতে আসা পরিবারের কেউ। নিখোঁজ স্বজনদের কাছে পাওয়ার ব্যাকুলতা আর বাঁধভাঙা খুশি যেনো কোনো বাধাই মানছিল না।
এ নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগারতলা বাংলাদেশ হাইকিমশেনর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই পাঁচ বাংলােদেশি নাগরিক মানিসক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে আটক হয়েছিলেন। আদালেতর নির্দেশে তাদেরকে আগরতলার একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকিমশন।
পাঁচ বাংলাদেশিকে হস্তান্তরের সময় আখাউড়া স্থলবন্দরে আগরতলার বাংলােদেশর সহকারী হাইকিমশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান , আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার,বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসজেড/



Leave a reply