
মেধাকচ্ছপিয়া সংরক্ষিত বন। যুগ যুগ ধরে কক্সবাজারের এই বন হারিয়েছে নিজস্বতা। একটি অংশে গড়ে উঠেছে লোকালয়। অবৈধভাবে বড় বড় গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া জ্বালানির ওপর স্থানীয়দের নির্ভরশীলতা তো ছিলই। তবে প্রায় হারিয়ে যাওয়া সংরক্ষিত বনটি আবারও ফিরে পাচ্ছে আগের চেহারা। গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়েই চলছে এই কাজ। অন্যদিকে কমছে বনের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা। চকরিয়ার সংরক্ষিত বনটিকে বাঁচাতে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে আশেপাশের মানুষদের। বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আলম জানালেন, এভাবে নজর রাখা গেলে অল্পদিনেই এই বন পুরানো রূপে ফিরবে।
কিন্ত যারা এই বনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ক্ষুধার্ত রেখে বন রক্ষার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব। বন সংরক্ষণের এই কাজকে টেকসই করতে স্থানীয়দের বিকল্প কর্মসংস্থান জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির সহযোগিতায় সেই কাজও চলছে। স্থানীয়দের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে তারা।
এক সময় বনের ওপর শতভাগ নির্ভরশীলদের একজন ছিলেন মনির উদ্দীন। এক একটি গাছের নার্সারি গড়ে তুলেছেন তিনি। ইকো লাইফের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. শফিকুর রহমান জানালেন, অনেকেই এখন বিকল্প ব্যবস্থায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তাদের বননির্ভরশীলতাও কমেছে বলে জানালেন তিনি।
ইদকে ক্রমেই বেড়ে চলা মানুষের চাপ কক্সবাজারের বন উপকূলকে করেছে বিপর্যস্ত। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিদের অবস্থান সেই চাপ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ।
/এডব্লিউ



Leave a reply