ফরিদপুরে ফলন না হওয়ায় হতাশ তরমুজ চাষীরা।
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
মৌসুমী ফল তরমুজের চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ফরিদপুরের তরমুজ চাষীরা। বীজ থেকে গাছ হলেও হয়নি কোনো ফল। আবাদের পুরো অর্থই লোকসান তাদের। লোকসানের মুখে পরবর্তী ফসল আবাদেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চাষীদের অভিযোগ নষ্ট বীজ দেয়ার কারণেই তাদের এ দুরবস্থা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী মো. তুহিন বলেন, শখ করে ৩ একর জমিতে তরমুজের
আবাদ করেছিলাম। বীজ থেকে গাছ হলেও কোনো ফল আসেনি। এখন দেনা শোধ করবো কিভাবে সেই চিন্তায় আছি।
একই মাঠের তরমুজ চাষী কামাল মোল্লা, শহীদ মোল্লা, মোশাররফ মোল্লাসহ যারাই তরমুজ চাষ করেছেন সবারই একই অবস্থা। তারা জানান, ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের দত্ত বীজ ভান্ডার থেকে পাকিজা কোম্পানীর তরমুজের বীজ কিনেছিলেন তারা। প্রতি বিঘা তরমুজ চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। ঋণ-ধার করে তারা তরমুজ আবাদ করেছেন। ভেবেছিলেন তরমুজ বিক্রির টাকা দিয়ে দেনা শোধ করবেন, পরবর্তী ফসল আবাদ করবেন। কিন্তু এখন দেনা শোধ তো দূরে থাক পরবর্তী ফসল আবাদের টাকাও নেই তাদের কাছে।
পরবর্তী ফসল আবাদের জন্য সরকারী সহায়তার দাবি জানান এই চাষীরা। সেই সাথে প্রতারক বীজ কোম্পানির শাস্তি দাবি করেন তারা। চাষীরা জানান, ডিলারের কাছ থেকে বীজ নেয়ার সময় কথা ছিল ৬০ দিনে ফলন আসবে। কিন্তু ৩ মাস পার হলেও গাছে কোনো ফল না আসায় এখন জমি থেকে গাছ তুলে ফেলছেন তারা।
তাদের অভিযোগ, অন্যান্য বার ভিন্ন কোম্পানির বীজ লাগালেও এ বছর ডিলার তাদের পাকিজা কোম্পানির বীজ
সরবরাহ করেছেন। এখন বীজ ডিলার বা কোম্পানি কেউই এর দায় নিচ্ছে না।
অপরদিকে, দত্ত বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী তাপস কুমার দত্ত জানালেন, কোম্পানি যেভাবে প্যাকেট করে পাঠিয়েছে
আমরা সেভাবে বিক্রি করেছি। আমরা তো আর ভাল মন্দ জানি না। তবে ঘটনাটি তিনি কোম্পানিকে জানিয়েছেন
বলে জানান।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হযরত আলী জানান, এসব ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ডিলারের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে একই সাথে যখন আবাদ করা হবে তখন কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে যেন আবাদ করেন চাষীরা। পরবর্তীতে এসব জমিতে চাষীরা পাট আবাদ করবে। কৃষি বিভাগ খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ
চাষীদের কিভাবে সাহায্য করা যায় তা দেখবে বলেও জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply