দেশে সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত

|

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংসদের বাজেট বক্তব্যে এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ধীরে ধীরে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমান্বয়ে হুমকির মুখে পড়ছে তাদের নিরাপত্তা। এসব কারণেই সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার আগে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা চলতি বছরই বিল আকারে সংসদে তোলা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে ঘোষণা দিচ্ছি যে, সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের বার্ধক্যকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরকারের প্রণীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে একটি সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক পেনশনব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো না থাকায় বার্ধক্যে পৌঁছানোর পর প্রবীণদের জীবনযাপনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ার শঙ্কা আছে। ২০২০ সালে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। এ সংখ্যা ২০৪১ সালে আনুমানিক ৩ কোটি ১০ লাখ হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে, গত মে মাসে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও থাকবে একই সুযোগ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply