থানচিতে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপে এক সপ্তাহে ৮ জনের মৃত্যু

|

ফাইল ছবি

স্টাফ করেসপনডেন্ট, বান্দরবান:

থানচি উপজেলার দুর্গমতম রেমাক্রি ইউনিয়নের বড় মদক, আধার মানিক নারিষ্যাপাড়া, লংঙ্যান পাড়া, মেনতাং পাড়াসহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় গত ৭ জুন তারিখ থেকে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় অত্র এলাকার ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও এলাকার জন প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও থানচি সদরের আশেপাশের এলাকায়ও ডায়রিয়ার পাশাপাশি ম্যলেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে এ দুই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালেও এক মুমূর্ষু ম্যালেরিয়া রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে।

থানচি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি টিম ও ৫৭ ব্যাটালিয়নের বিজিবির সদস্যরাসহ ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প বসিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। ওইসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আক্রান্ত এলাকাগুলোয় প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আর এলাকাগুলো দুর্গম ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

থানচি স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডায়রিয়া প্রবণ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে যমুনা নিউজকে জানান, জুম কালটিভেশনের সময় শতশত জুমে ঘাস ও আগাছা নিধনের জন্য আগাছানাশক প্রয়োগ করা হয়েছে । বর্ষা শুরু হওয়া মাত্র ওই বিষগুলো বিভিন্ন ঝিরি ও ঝর্ণার পানির সাথে মিশে নদীতে এসে পড়ে এবং সেই পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আত্রান্ত হচ্ছে থানচিবাসী। বিশেষ করে ওইসব এলাকায় বসবাসরত ম্রো জনগোষ্ঠী অসচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি সর্ম্পকে অজ্ঞ এবং কুসংস্কারে বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

দুর্গম হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য কর্মীরাও নিয়মিতভাবে সেবা কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। তবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকাভিক্তিক নিয়মিত সেবা কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখলে রোগ ও মৃত্যুর হার কমে আসবে বলে আশাবাদী থানচিবাসী।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply