ছবি: সংগৃহীত
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাতে এবার সাপের আকৃতিতে রোবট তৈরি করেছেন জাপানের একদল গবেষক। সাপের মতো এঁকেবেঁকে চলা এই রোবট ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই পথ করে চলতে সক্ষম। ক্যামেরা এবং সেন্সর সংযুক্ত এই রোবটের মাধ্যমে খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব প্রাণের অস্তিত্ব। পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা পেলে খুব শিগগিরই বাজারে আসবে এই স্নেক রোবট। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এই রোবটের লক্ষ্য যেকোনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রবেশ করে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করা। জাপানের ইউনিভার্সিটি অব ইলেক্ট্রো কমিউনিকেশনসের একদল গবেষকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফসল এই স্নেক রোবট।
জাপানের গবেষক মোতোয়াসু তানাকা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় কিংবা দুর্ঘটনায় এমন পরিস্থিতি হয় যেখানে কোনো উদ্ধার কাজ কিংবা সাহায্য পাঠানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সেসব স্থানে এই রোবট খুবই কার্যকর। এটা খুব সহজেই দেয়াল বেয়ে ওপরে উঠতে পারে। ধ্বংসস্তূপের ফাঁক ফোকরের মধ্যে দিয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারে।
সাড়ে ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই স্নেক রোবটের ওজন প্রায় ১০ কেজি। পুরো রোবটে রয়েছে ১৭টি অংশ। ফলে খুব সহজেই এঁকেবেঁকে প্রবেশ করতে পারে সূক্ষ্ম স্থানের মধ্যে। প্রতিটি অংশে রয়েছে আলাদা আলাদা সেন্সর এবং ক্যামেরা। মোট ৪০টি ক্ষুদ্র মোটের সাহায্যে চলে এই স্নেক রোবট।
মোতোয়াসু তানাকা আরও বলেন, এই রোবটে এমনভাবে ক্যামেরা সংযুক্ত আছে যা ভিডিও পাঠাবে সার্ভারে। ফলে খুব সহজেই বোঝা যাবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ আটকে আছেন কিনা। পাহাড়ের খাঁজ কিংবা গর্তের ভেতরে খুব সহজেই অনুসন্ধান চালানো যাবে এই রোবট দিয়ে।
এই রোবটকে আরও আধুনিক এবং কার্যকর করার পরিকল্পনা গবেষকদের। শুধু ছবি কিংবা তথ্য পাঠানোই নয়, কিভাবে ধ্বংসস্তূপ সরানো যায় এই স্নেক রোবট দিয়ে সেই চেষ্টাও চলছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, খুব শিগগিরই পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে আসবে এই রোবট।
ইউএইচ/
Leave a reply