
যমুনা ও মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সিরাজগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে বস্তুতই বদলে যাচ্ছে এই দুিই জেলার মানচিত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর নদীর আগ্রাসী রূপের কবলে পড়েন তারা। বারবারই সরাতে হয় বাড়িঘর-দোকানপাট। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান দেয় না সংশ্লিষ্ট কেউ। যদিও ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যমুনার পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালি ও এনায়েতপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়েছে বসতভিটা, মাছের ঘের আর ফসলি জমি। একইসাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ফলে দিশেহারা মানুষের দিন কাটছে নিদারুন কষ্টে। ভাঙন কবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই করার নেই। তবে এই ভাঙন রোধে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, এই কষ্ট আর বেশিদিন করতে হবে না। ২টি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি। একটি এডিবির অর্থায়নে অনুমোদন হয়েছে এবং আরেকটি হলো দক্ষিণে বাংলাদেশ সরকারের সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
এদিকে, একই দশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। মেঘনার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে চিত্রী, চরলাপাং ও দড়িলাপাং গ্রামে অন্তত ২৫টি ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীগর্ভে। ঝুঁকিতে শত শত স্থাপনা। শেষ সম্বল রক্ষায় বসতভিটা-দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে নদী তীরের মানুষ।
ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন উপাজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক। এ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। আপাতত কিছু বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন মোকাবেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
গত দশ বছরে নবীনগরে মেঘনার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। তাদের পূনর্বাসনে নেই কোনো উদ্যোগ।
এসজেড/



Leave a reply