
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে যেখানে নিজেদের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত বাকিরা, সেখানে ব্যতিক্রম এক নারী। লড়ছেন বিড়ালের প্রাণ বাঁচাতে। রুশ হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইউক্রেনের অনেক বাসিন্দাই পোষা বিড়াল বাড়িতে ফেলে গেছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে এ বিড়ালগুলোকে প্রতিদিন খাবার দিচ্ছেন তিনি। তার খাবার খেয়ে বেঁচে আছে অন্তত একশ’ বিড়াল। খবর ডেইলি টেলিগ্রাফের।
নাটালিয়া পাস্তেরনাক নামের ৬৮ বছর বয়সী এক নারী যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শ’খানেক বিড়ালের প্রতিদিনের খাবার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিড়ালগুলোকে খাওয়াচ্ছেন তিনি।
খারকিভ শহরের উত্তর সালটিভকা, প্রায় তিন লাখ বাসিন্দার এ এলাকায় এখন মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন। রুশ হামলা শুরু হওয়ার পরপরই বেশিরভাগ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। মানুষ পালালেও এলাকা ছাড়তে পারেনি অসংখ্য পোষা বিড়াল। এ বিড়ালগুলোকেই প্রতিদিন খাবার দিয়ে যাচ্ছেন নাটালিয়া।
এ বিষয়ে বিড়ালপ্রেমী নাটালিয়া পাস্তেরনাক বলেন, মানুষ খাবার চাইতে পারে, সাহায্য চাইতে পারে। কিন্তু একটি বিড়াল তা পারে না। পেটে ক্ষুধা নিয়েও বিড়াল চুপচাপ বসে বসে মারা যাবে। খুব বেশি সাহসী হলে খাবারের জন্য মিউ মিউ শব্দ করবে। তাই যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে তাদের খাবার দরকার।
তিনি আরও বলেন, বিড়ালগুলোর নিজেকে রক্ষার ক্ষমতা নেই, তাই মানুষ তাদের খাবার না দিলে তারা খেতে পায় না। আমি জানি না আমি তাদের প্রতি কেনো এত যত্নশীল। ছোটবেলা থেকেই আমি এমন।
নাটালিয়া যে ভবনে থাকেন তা এখন পুরোটাই ফাঁকা। বিড়ালগুলোর মায়ায় এ এলাকা ছাড়তে পারেননি তিনি। আশ্রয় নিয়েছেন ভবনের বেজমেন্টে। প্রতিদিন সকাল হলেই খাবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন বিড়ালের খোঁজে। পোষা এ প্রাণীগুলোর খাবার জোগাড় করতে গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের কাছে হাতও পেতেছেন এ নারী।
রুশ হামলায় ইউক্রেনে প্রাণ গেছে অসংখ্য পোষাপ্রাণীরা। গোলা বারুদের আঘাতে মারা যাওয়ার পাশাপাশি আতঙ্কেও মৃত্যু হয়েছে অনেক বিড়াল-কুকুরের।
এটিএম/



Leave a reply