অভিযুক্ত এজেন্সির গ্রেফতারকৃতরা।
বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির অবৈধ পথে সৌদি আরব পাঠানো দুই নির্যাতিতা নারী গৃহকর্মীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে র্যাব। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন তারা। র্যাব জানায়, প্রতারক ঐ এজেন্সি কোনো ঝামেলা হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা যাবে না এমন চুক্তিও করেছিল ভুক্তভোগীদের সাথে। সাদা কাগজে স্বাক্ষরও করিয়ে নেয়া হয়। মেসার্স কনকর্ড এপেক্স নামে ওই এজেন্সির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে ৯ মাস এবং আরেকজনকে ৬ মাস আগে সৌদি আরব পাঠানো হয়। মেসার্স কনকর্ড এপেক্স এজেন্সির সাথে চুক্তি ছিল, সৌদি আরব গিয়েই চাকরি পাবেন তারা। কিন্তু সৌদি পৌঁছানোর পর তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। কাজের নামে চালে অমানবিক নির্যাতন।
ভুক্তভোগী একজন নারী বলেন, আমাকে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে। পরে একজন বাঙালির সহায়তায় আমার স্বামীর কাছে বিষয়টি জানাই। ওই নারী বলেন, অনেক মানুষ অনেকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। আপনারা যদি পারেন তাদেরকে সাহায্য করুন।
র্যাব জানায়, সৌদি আরবে বিক্রির প্রস্ততি চলছিলো তাদের। ভুক্তভোগী নারীদের মতে তাদেরই চেনাজানা আরও প্রায় ৯০ জন আছেন একই দুরাবস্থায়। সবার সাথে একই চুক্তি করে বৈধতার লাইসেন্সধারী প্রতারক ওই এজেন্সি।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এজেন্সির কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কিন্তু তারা এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাঠাচ্ছে মানুষকে। তারা টার্গেটই করে এমন মানুষকে, যাদের বলার কোনা জায়গা নেই।
ভুক্তভোগীর স্বজনের অভিযোগে ৭ আগস্ট কনকর্ড এপেক্সের মালিক আবুল হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করে র্যাব। সাথে পাওয়া পাওয়া যায় ৩০টিরও বেশি পাসপোর্ট। র্যাবের দাবি, এপর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিককে পাচার করেছে এ চক্র।
এসজেড/
Leave a reply