যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ক্যামেরাপাসন শাহীন আলমকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১ আগস্ট মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে তারিখ পিছিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন আদালত। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
সাংবাদিক শাকিল হাসান বলেন, দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর হামলার অর্থ শুধু ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রান্ত করা নয় বরং এর অর্থ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলা। এ হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তাই আক্রান্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যমুনার এই সিনিয়র রিপোর্টার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চালাচ্ছি, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই সাংবাদিকের ওপর হামলা হলে বিচার হয়। এর আগে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ অসংখ্য সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় আমরা কোনো বিচার হতে দেখিনি। আমি চাই সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের একটি উদাহরণ, একটি নজির তৈরি করতে। ইতোমধ্যে মামলাটির অনেক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে শাকিল হাসান বলেন, আমি আশা করবো আদালত এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর চকবাজারে দেবীদাস লেনে অবৈধ পলিথিন ব্যাগ তৈরির একটি কারখানা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে হামলার শিকার হন যমুনার সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ভিডিও জার্নালিস্ট শাহীন আলম। রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে আসামিরা তাদের ওপর হামলা করে। হামলা থেকে বাঁচতে তারা নিকটস্থ একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা শাকিল হাসানের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বাধায় দেয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শাকিল।
এ ঘটনায় শাকিল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। দুই আসামি গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে যায় তারা। দীর্ঘদিন চলে গেলেও শেষ হয়নি মামলার বিচারিক কার্যক্রম।
/এডব্লিউ
Leave a reply