
ফাইল ছবি।
মাহফুজ মিশু:
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নতুন কোনো স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নাম আসবে না বলে আশাবাদী সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ পুলিশের ওপর স্যাংশনের যে প্রচারণা চালাচ্ছে তা অযৌক্তিক। বরং দ্রুতই র্যাবের ওপর গত বছর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদী সরকার।
এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর আইনের পথও খোলা রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এ বিষয়ে বিলম্ব হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মূলত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বরে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আসে এলিট ফোর্স র্যাব ও এর সিনিয়র সাত কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর এ নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটনের যোগাযোগ বেড়েছে, সেখানে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে নেয়া বিভাগীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। অনেক চেষ্টা করে এই নিষেধাজ্ঞার কারণও জেনেছে ঢাকা।
তবে এখন সরকার বিরোধীরা অনেকেই বলছেন, র্যাবের মতো পুলিশের ওপরও আসতে পারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পশ্চিমা অন্যান্য দেশও যেন কঠোর অবস্থান নেয় সেই দাবিও করছেন তারা। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ সবই মিথ্যা প্রচারণা। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে পুলিশের কার্যক্রম প্রশংসনীয় বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও আরও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রদানের অবস্থা বা পরিকল্পনা এখন নেই।
এদিকে, মানবাধিকার রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক বলেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে বলে দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, গত চার বছরে দেশে কোনো গুম হয়নি, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়নি। স্কুল, শপিংমল বা ধর্মীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়নি। বরং পশ্চিমা অনেক দেশই এসব সমস্যা নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে আছে।
এসজেড/



Leave a reply