
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সমীকরণ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি, দেশটির সীমান্তের কাছে যৌথভাবে বিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া চালিয়েছে বেলারুশ ও রাশিয়া। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, বেলারুশকে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণে চাপ দিচ্ছে মস্কো, তারই অংশ এ কার্যক্রম। এদিকে, অত্যাধুনিক ট্যাংক নিয়ে মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
চলতি মাসেই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তিতে জোরদার হামলা চালাবে রাশিয়া- এমন শঙ্কা ইউক্রেন ও তার মিত্রদের। হামলার তীব্রতা বৃদ্ধির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ। ট্যাঙ্ক সরবরাহ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমাদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে মস্কোর। শুধু কথার লড়াই নয়, যুদ্ধের ময়দানেও পশ্চিমা অস্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত রাশিয়া। ট্যাঙ্ক নিয়ে মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করে যেন শত্রুদের সে বার্তাই দিলো রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার উত্তর লেনিনগ্রাদ অঞ্চলে অত্যাধুনিক টি-৯০এম ট্যাঙ্ক নিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা ঝাঁলাই করে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অনুশীলন করেছে তারা। আকাশ পথেও নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে বেলারুশের সাথে গত দুই সপ্তাহব্যাপী যৌথ বিমান ও হেলিকপ্টার মহড়া চালিয়েছে দেশটি।
যদিও বেলারুশ বলছে, দুই দেশের বিমান বাহিনীর কৌশলগত এ কর্মসূচি প্রতিরক্ষামূলক। তবে ইউক্রেনের দাবি, মহড়া শেষে ঘাঁটিতে না ফিরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রুশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
বেলারুশিয়ান স্টেট সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলেকজেন্ডার ভলফোভিচ এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই দেশের যৌথ বিমান ও হেলিকপ্টারের মহড়া সফলভাবে শেষ হয়েছে। আমাদের সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ মহড়া। কাউকে হুমকি দিতে নয়, এ ধরনের মহড়া সাধারণত প্রতিরক্ষামূলক হয়ে থাকে। আমরা এ অঞ্চলের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।
প্রসঙ্গত, সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় সম্প্রতি খারকিভ ও চেরোনোবিলে নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে ইউক্রেনের সৈন্যদল। ড্রোনের মাধ্যমে বেলারুশ সীমান্তে শত্রুপক্ষের ওপর নজরও রাখছে জেলেনস্কি বাহিনী।
/এসএইচ
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply