ভরা মৌসুমে লবণের দরপতন, লোকসানের শঙ্কায় চাষীরা

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

মৌসুমের শুরুতে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও চকরিয়াসহ উপকূলের লবণ চাষীরা। ভালো দাম পাচ্ছিলেন বলে হাসি ছিল সবার মুখে। তবে, তাদের সেই হাসি এখন নেই। হঠাৎ দরপতনে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কায় তারা।
দাম অর্ধেকে নেমে আসার নেপথ্যে দুষছেন সিন্ডিকেটের কারসাজিকে। উৎপাদন খরচ বিবেচনা করে বাজার দর নির্ধারণ এবং লবণ শিল্প বাঁচাতে আমদানি বন্ধের দাবি চাষিদের।

চলতি মৌসুমে উৎপাদন ভালো হলেও হঠাৎ করে কমতির দিকে দাম। কুতুবদিয়ায় বর্তমানে প্রতিমণ লবণ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশো টাকায়। যা মৌসুমের শুরুতে ছিল ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। চাষীরা বলছেন, সব উপকরণের দাম এবং উৎপাদন খরচ বাড়তি।

তাদের অভিযোগ, উৎপাদন ভালো হওয়ায় একটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে দাম কমিয়ে দিয়েছে। লবণ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং উৎপাদনে চাষীদের আগ্রহ ধরে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ উপকুলবাসীর।

উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান বলেন, চাষীদের টিকিয়ে রাখার জন্য লবণের দাম বৃদ্ধি করতে হবে।

কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেছেন, লবণ আমদানি না করলে চাষীরা খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারবেন।

উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো হওয়ায় লবণের দাম নিম্নমূখী বলছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সংস্থাটির কক্সবাজার শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, আমাদের চাষীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার উপকুলে লবণ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টন, মাঠে মজুদ আছে ১ লাখ ১০ হাজার টন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply