
শাকিল হাসান:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে কিউলেক্স মশার উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। যদিও দুই সিটি করপোরেশনের দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টি এডিসের বংশ বিস্তার নিয়ে ভাবাচ্ছে নতুন করে। ডেঙ্গু ঠেকাতে এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার কথা জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।
অপরিষ্কার পানি আর আর্বজনায় বিস্তার ঘটে কিউলেক্স মশার। দুই সিটি করপোরেশনের যে এলাকাগুলোতে খাল বা ড্রেন আবর্জনায় ভরা, সেখানে উৎপাত বেশি এই মশার।
রাজধানীর একাধিক বাসিন্দা বলেন, দিনের বেলায়ও হাত দিয়ে ধরা যায়, এতো মশা। আর সন্ধার পর মশা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে।
মশা নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপীই নানা উদ্যোগ চলে বলে দাবি উত্তর ও দক্ষিণ— দুই সিটি করপোরেশনেরই। তবে, মশা কেন কমে না, এমন প্রশ্নে আছে নানা অজুহাত।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, মশা খুব যে বেড়েছে তা কিন্তু নয়। অসহনীয় মাত্রায় চলে গেছে তা-ও নয়।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, কোথাও থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা সফলভাবে কিউলেক্স মৌসুম পার করতে পেরেছি। তবে বর্তমানে শহরতলীর দুয়েকটা জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে অভিযোগ আসছে। এখন মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
গত কয়েক বছরে বেড়েছে মশার ঘনত্বও। এর পচানব্বই ভাগই কিউলেক্স মশা। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এই মশায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, কিউলেক্স মশা আছে দেখেই ভয় পেয়ে যাবো কিংবা সমাজে অনেকে আক্রান্ত হবে, বিষয়টি সেরকম নয়। মশার চরিত্র পরিবর্তন হয়ে গেছে, তা-ও নয়, এটা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ওপর নির্ভর করে।
এপ্রিল থেকে ঢাকার আতঙ্ক এডিস মশার প্রজননকাল শুরু হয়ে গেছে। ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই এডিস নিয়ন্ত্রণে কৌশল ঠিক করে দুই সিটি করপোরেশন কাজ করছে বলে জানায়।
কীটতত্ত্ববিদদের মতে, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা ও লার্ভা ধ্বংস করাই যেকোনো মশার বিস্তার রোধে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।
/এমএন



Leave a reply