স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বনানী এলাকায় বিএনপি-ছাত্রলীগ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে ঘটে এ ঘটনা। এ সময় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শহরের বনানী এলাকার দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর বক্তব্য চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিপের নেতৃত্বে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা যুবলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুনরায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাদানে গ্যাস ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু ইটের আঘাতে আহত হন।
এ নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ১০ থেকে ২০ জন কর্মীকে আহত করেছে। অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি তানভির হাসান আরিপ বলেন, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমরা মিছিল করলে বিএনপির ‘গুণ্ডারা’ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
এসজেড/
Leave a reply