৬ কংগ্রেসম্যানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ১৯২ বাংলাদেশি-বংশদ্ভুত মার্কিন নাগরিকের বিবৃতি

|

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের দেয়া বক্তব্য ‘অসত্য’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছেন ১৯২ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা মার্কিন কংগ্রেসম্যানের দেয়া বক্তব্য অসত্য বলে উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশি-আমেরিকানরা কংগ্রেসম্যানদের চিঠি থেকে ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দেয়া মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে থাকা ‘ভুল তথ্য’ কেবল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অধিকারের বিষয়ে কংগ্রেসম্যানদের অবস্থানের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষুণ্ণ করবে না, অধিকন্তু, নিম্নস্বাক্ষরকারী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকেও ঝুঁকিতে ফেলবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চিঠির সবচেয়ে খারাপ দিকটি হচ্ছে, (মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের) এই সমস্ত ‘মিথ্যা বিবৃতি’ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতিতে অক্টোবর ২০০১’র সংসদীয় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

১৯২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতিতে আরও বলছেন, কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতিতে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে খ্রিস্টান জনসংখ্যার নিপীড়ন সম্পর্কে ‘বানোয়াট’ তথ্য রয়েছে। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য দায়ী একই গোষ্ঠীগুলোই বিদেশি ও ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যা এবং দেশজুড়ে বোমা হামলা চালানোর জন্যও দায়ী। একই গোষ্ঠীর এজেন্টরা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের লক্ষ্যে ভুল তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে লঙ্ঘনকারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায় আনা হয়।

বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন মেলবোর্ন সিটির মেয়র মাহবুবুল আলম তৈয়ব, কাউন্সিলম্যান- ড. নূরন নবী (এমজে), নূরুল হাসান (এনএইচ), রাজ্য প্রতিনিধি- আবুল খান (এনএইচ), অধ্যাপক এবিএম নাসির (এনসি), ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ (পিএ), নবেন্দু দত্ত (এনওয়াই), বিজ্ঞানী ড. সুফিয়ান এ খন্দকার, ড. জিনা নবী (এনজে), আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়নের পরিচালক- ইকবাল ইউসুফ, হিউজ নেটওয়ার্কের সিইও- নিজামউদ্দিন আহমেদ (ভিএ), প্রকৌশলী- রানা হাসান মাহমুদ (সিএ), আহাদ আহমেদ (এমআই), প্রাণবন্ধু চক্রবর্তী (এনওয়াই), লেখক- ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত (এফএল), ড. পূরবী বসু (এফএল), অ্যাক্টিভিস্ট সফেদা বসু (এমএ), সবিতা দাস (এনওয়াই), কমিউনিটি নেতা গোপাল স্যানাল (এনওয়াই), ড. খন্দকার মনসুর (এনওয়াই), শ্যামল চক্রবর্তী (এনওয়াই), পরিমল কর্মকার (এনওয়াই), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- জামাল উদ্দিন হোসেন (আ.), শিল্পী- রথীন্দ্র নাথ রায় (এনওয়াই), গৌরব গল্প (ভিএ), সাংবাদিক- দস্তগীর জাহাঙ্গীর (ভিএ), সিতাংশু গুহ (এনওয়াই), শিক্ষক-ড. দিলীপ নাথ (এনওয়াই), পিএইচডি ছাত্র তৌজিয়াত আহমেদ (এনওয়াই), ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ (এনওয়াই), সৈয়দ রশিদ আহমেদ করমানি (এনওয়াই) প্রমুখ।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply