ফাইল ছবি।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ও অব্যাহতির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ‘তৃতীয় পক্ষ’।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৫ নেতা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত দুদিনের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নুরের পাল্টাপাল্টি অব্যাহতির কার্যক্রমকে অবৈধ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন গণঅধিকার পরিষদের ৪৫ নেতা।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বক্ষরকারীগণ সবাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সচেতন সদস্য। গত ১৮ জুন (রোববার) সংগঠনের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার আলোচিত-সমালোচিত ইনসাফ কমিটির মিটিংয়ে যাওয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কথিত সদস্য মেন্দি সাফাদির সঙ্গে দেখা করার কারণ ও তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। উক্ত ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুগত সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সভার সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সঞ্চালক সভা মুলতবি ঘোষণা করেন’।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরেরদিন সোমবার (১৯ জুন) সংগঠনের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর আরেকটি সভা আহ্বান করেন, যা গঠনতন্ত্রের ৩৬(খ), ৩৭(ক), ৩৮, ৩৯(খ) ও ৩৯ (ঘ) অনুযায়ী অবৈধ। তবু আমাদের কয়েকজন দলের স্বার্থে সেখানে উপস্থিত হই এবং কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে আহ্বায়ক দেশে আসার পূর্ব পর্যন্ত প্রটোকল অনুযায়ী ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে অন্তবর্তীকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিই। কিন্তু, উপস্থিত সবার মতামতকে উপেক্ষা করে একটি বানোয়াট প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, যেখানে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। অবৈধ এই সিদ্ধান্তে দলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়’।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এদিকে আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার দলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ঘোষণা করেন। আহ্বায়কের এ কাজ সংকটকে আরও ঘনিভূত করেছে বলে আমরা মনে করি। এমন পাল্টাপাল্টি কার্যক্রমে দলে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে’।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যগণ গঠনতন্ত্রের ১৮-গ-৮ ধারার ক্ষমতাবলে অত্র ঘোষণায় স্বাক্ষর করছি এবং দলের এরূপ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের তৎপরতাকে নীতিবহির্ভূত এবং দলের শৃঙ্খলা ও জনমনে দলের ইমেজ ক্ষুণ্নকারী বলে মনে করছি। সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা গেল।’
বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব:) মিয়া মশিউজ্জামান, ব্যরিস্টার জিসান মহসিন, সাদ্দাম হোসেন, জাকারিয়া পলাশ, সাকিব হোসাইন প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়।
/এসএইচ
Leave a reply