
পাবনায় সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যার রহস্য এখনো জানা যায়নি। পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। পুলিশ বলছে, মামলার পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে চলছে তদন্ত। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সুবর্ণার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৬ সালে ভালোবেসে ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবকে বিয়ে করেন সুবর্ণা। এটি ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেই বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই প্রথম পক্ষের ৯ বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে রাধানগরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন সুবর্ণা।
শ্বশুর বাড়ি থেকে বিয়ে মেনে না নেওয়ায় অশান্তি চলছিল। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। মামলা হয় আদালতে। সুবর্ণার পরিবারের অভিযোগ, পরিবারের অমতে বিয়ের পর ডিভোর্স নিয়ে মামলা হলে আরও ক্ষেপে যায় রাজীবের বাবা। সুবর্ণার মায়ের অভিযোগ, মামলার জেরেই তার মেয়ের জীবন গেছে।
এদিকে হত্যা জড়িতদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। সুবর্ণা বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শহরের রাধানগর এলাকায় নিজ বাসার সামনে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
যমুনা অনলাইন:এফএম



Leave a reply