বিমান বিধ্বস্তের ছবি। সংগৃহীত ছবি।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনার এর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যুর সংবাদে এ মুহূর্তে বেশ সরগরম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বেশকটি মরদেহও। তবে আসলে কী ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোনো গণমাধ্যমই।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রাইভেট জেট বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যুর পর রাশিয়ায় যা যা ঘটছে সে বিষয়ে বিবিসিতে প্রকাশিত এক অনলাইন থ্রেডে মস্কোয় কর্মরত বিবিসি প্রতিবেদক উইল ভার্নন জানিয়েছেন, এখানে যা যা ঘটেছে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটে গেছে। বিমান বিধ্বস্তের তথ্য সামনে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে রুশ মিডিয়াগুলো প্রচার করতে থাকে যে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি প্রিগোঝিনের মালিকানাধীন ছিল।
এর কিছুক্ষণ পরই রাশিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইমার্জেন্সিস এক বিবৃতিতে জানায় যে, ওই বিমানের ১০ আরোহীই নিহত হয়েছেন।
তবে, সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়েছে রুশ অ্যাভিয়েশন এজেন্সি রোজাভিয়াৎসিয়া’র দেয়া বিবৃতি। তারাই সর্বপ্রথম জানায় যে, নিহত আরোহীদের তালিকায় প্রিগোঝিনের নামও আছে।
উইল ভার্নন আরও বলেন, রাশিয়ায় আসলে কী ঘটেছে সঠিকভাবে তা জানা একটু কঠিন। সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলোয় বিভিন্ন তথ্য আসলেও মৃতদের তালিকায় প্রিগোঝিন আসলেই আছেন কি না সে নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছে না। এছাড়া, বিমানটিকে আক্রমণ করা হয়েছিল নাকি কোনো বিস্ফোরণে সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটিও এখনও নিশ্চিত নয়।
প্রসঙ্গত, ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের ঠিক দুই মাস পর প্রিগোঝিনের নিহত হবার খবর পাওয়া গেলো। গত জুনে সংঘটিত ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থান ক্রেমলিনের জন্য ছিল ভীষণ অপমানকর। যদিও পরে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন।
/এসএইচ
Leave a reply