গ্রীক যাজক ফাদার স্পিরিডন বেথেলহামের একটি চার্চে। ছবি: ইন্ডিপেনডেন্ট
এক দিন পরই খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘ক্রিসমাস’। দেশে দেশে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ক্রিসমাস ট্রিসহ আরও বাহারি আলোকসজ্জায় সজ্জিত ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এশিয়া। মনোমুগ্ধকর সুরের সাথে চোখ জুড়ানো প্রদর্শনী। তুলে ধরা হচ্ছে যীশুর জন্মের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
দুয়ারে বড়দিন। কিন্তু চিরচেনা সেই রূপ নেই যীশুর জন্মস্থল বেথেলহামে। প্রতিবছর অঞ্চলটিতে বড়দিনের মূল আয়োজন থাকলেও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে এবার নেই উৎসবের আলোকচ্ছটা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং মশাল মিছিল করে গাজার প্রতি জানানো হয় সংহতি। জানানো হয় যুদ্ধবিরতির আহ্বান।
ফাদার ইব্রাহিম ফালতাস বলেন, বেহলেহাম গোটা বিশ্বের জন্যই শান্তির বার্তা। এই পবিত্র স্থান থেকে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান, যুদ্ধ-সংঘাত বন্ধ করতে হবে। ২০ হাজার প্রাণ গেছে। এই প্রতিশোধ বন্ধ করুন।
প্রতিবছরের মতো উত্তর মেরুর বাড়ি থেকে উপহার নিয়ে ক্রিসমাস ভ্রমণে বের হয়েছেন সান্টা ক্লজ। ক্রিসমাসের মূল কথা মানবসেবা। তাই জার্মানিতে ছিলো ছিন্নমূল মানুষের জন্য আয়োজন। বিনামূল্যে খাবার বিতরণের পাশাপাশি অসংখ্য গৃহহীনকে দেয়া হয় উপহার।
জাপানের সড়কে দেখা মেলে শত শত সান্তা ক্লজ। সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিতে রাজধানী টোকিওর সড়কে সান্তাবেশে হাজির হন তিন শতাধিক মানুষ। মূলত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন তারা। এদিন পথচারী ও কেনাকাটা করতে যাওয়া বাসিন্দাদের হাতে উপহার তুলে দেন তারা। করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার পুরানো উদ্যোমে ফের বড়দিন উদযাপনে মাতবে জাপানিরা।
বড়দিন উদযাপনে পিছিয়ে নেই হোয়াইট হাউসও। রঙবেরঙের আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে প্রেসিডেন্টের বাসভবন। সেখানে উৎসবের প্রাক্কালে শিশুদের সাথে ক্রিসমাসের আনন্দে মাতেন বাইডেন দম্পতি।
সবচেয়ে বড় ছুটিতে ভ্রমণের ধুম পড়েছে মার্কিন মুলুকে। লোকে লোকারণ্য বিমানবন্দর, ট্রেন স্টেশন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছর অন্তত সাড়ে ১১ কোটি মানুষ ভ্রমণ করবেন ক্রিসমাসের ছুটিতে।
/এএম
Leave a reply