
আর পাঁচটি সাধারণ চশমার মতো নয়। তৈরির জন্য নেই কোনো মূল্যবান উপাদান। বিশেষ এই চশমা তৈরি হয় প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে। গবেষকরা বলছেন, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এটিই প্রথম চশমা।
তাইওয়ানে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তৈরি হয়েছে এই চশমা। মূলত প্লাস্টিকের বোতলের মোখা, পলিথিন, বাচ্চাদের ফেলে দেয়া খেলনা একসাথে মিলিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয়েছে এই চশমা।
পরিবেশবাদী ডেবি ও বলেন– বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ঝড়, ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মারাত্মক বাধা। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এর রিসাইকেল নিশ্চিত করতে হবে।
নিজ হাতে প্লাস্টিক থেকে চশমা বানানোর সুযোগ রয়েছে উৎসাহী ক্রেতাদের জন্য। তারা বাড়ি থেকে প্লাস্টিক এনে নিজ হাতে বানাচ্ছে চশমা। এতে যেখানে সেখানে প্লাস্টিক না ফেলতে আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছে নাগরিকরা।
একজন নাগরিক বলেন, আমি কখনও কল্পনাও করিনি, প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে এতো চমৎকার কিছু তৈরি হতে পারে। আমার মেয়ের পুরোনো খেলনা নতুন কিছু তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে শুনলে সে নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে।
যে যতটা পারছে, ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসছে প্লাস্টিক। শিখছে চশমা বানানোর প্রক্রিয়া। বানাচ্ছে নিজের পছন্দের চশমা। বর্জ্য থেকে যদি পরিবেশবান্ধব কিছু হয়, ভালোই তো!
/এএম



Leave a reply