রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের পীরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আরেক পক্ষ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আব্দুল খালেক ও জিয়ারুল ইসলামের একই এলাকার দিলওয়ার, হালিম ও আবু তাহেরের ২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। খালেকের লোকজন ওই জমিতে ধান লাগায়। শুক্রবার সকালে লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধান কাটতে যায় দিলওয়ার ও তার লোকজন। এ সময় ধান কাটায় বাধা দেয় খালেক ও তার স্ত্রী সাহেদা খাতুন, জিয়ারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ময়না বেগম।
এ সময় তাদের ওপর হামলা চালায় দিলওয়ারের লোকজন। বাধে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে দিলওয়ারের লোকজন খালেকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতেদর মধ্যে সাহিদা বেগম, জিয়ারুলের অবস্থা গুরুতর। অন্য আহতরা হলেন, সানজিদা, শামীম বাবু, জাকিরুল রনি, জমসের, সমসের আলী। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে।
আহত সাহেদা খাতুন জানান, দিলওয়ার, হালিম, সমছেল, আবু তাহের বাবু, আইনুর, তাজুল, সুরুজ্জামাল, রফিকুল , মফিদুল, রাজাসহ ভাড়াটিয়া লোকজন আমার জমির ধান কাটতে আসে। বাধা দিলে তারা লাঠি ও হাসুয়া দিয়ে আমাদের আঘাত। পরে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার অভিযোগ, ১২ বছর ধরে তারা ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন।
আহত জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমিতে আমরাই ধান লাগিয়েছি। আর ওরা কেটে নিয়ে যায়। বাধা দেয়ায় হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১২ জন লোক আহত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের পক্ষ নিয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে পুলিশ কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে।
/এনকে
Leave a reply