আজহারীর মাহফিলে স্বর্ণালংকার-মোবাইল চুরি, থানায় জিডির হিড়িক

|

যশোর করেসপনডেন্ট:

যশোরে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে অসংখ্য মানুষের মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ জনুয়ারি) দিবাগত রাতে শহরতলী পুলেটহাটস্থ আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করতে রীতিমতো লাইন ধরেছেন ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ৩০০ জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার শারমিন আক্তার। তিনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে অসংখ্য মানুষ মোবাইল হারিয়ে যাওয়া বা চুরির ঘটনায় জিডি করতে আসে। তাৎক্ষণিক যারা মোবাইলের ডকুমেন্ট দেখাতে পেরেছে তারা জিডি করতে পেরেছেন। আর শনিবার সকাল থেকে রীতিমতো ভিড় লেগেছে। জিডির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে থানায় গিয়ে ভুক্তভোগীদেরও দেখা মিলে, মায়ের দেড় ওজনের একটি গলার হার খোয়া যাওয়ার পর জিডি করতে আসেন ইব্রাহিম হোসেন নামে একজন। বউয়ের গলার চেইন হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় জিডি করতে আসেন শহরতলী নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হয়রত হোসেন। এ ছাড়াও এমন অনেকের সাথেই দেখা মিলে থানা এলাকায়।

শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম ইমান আমল ঠিক করতে। আর চোরেরা তাদের ব্যবসা খুঁজে নিলো। মাহফিলের মাঠেই হাজার হাজার মানুষের মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। অনেকেই দূর দুরান্ত থেকে এসেছে, তাই জিডি করতে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জিডি করতে পারছে না।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাহফিলে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। অসংখ্য মানুষের মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মুল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই জিডি করছেন। কয়েকটি চুরির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, মাহফিলে আহত বা মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মাহফিলে পদদলিত হয়ে মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফলে মৃত্যু নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনের তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিন ছিলো শুক্রবার। এদিন রাতে বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান আজাহারী। তার আসার খবরে নামে সমগ্র মাহফিল এলাকায় মানুষের ঢল নামে। শুক্রবার সকালে থেকেই শীত উপেক্ষা করে মানুষ জমায়েত হয়। বিকেলের পর থেকে সড়ক, মহাসড়কে শিশু, নারী, পুরুষের ঢল নামে।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply