লাভলী বিথী:
দেশে এখন পর্যন্ত মোট তিনবার গণভোট হয়েছে। ১৯৭৭ ও ৮৫ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে গণভোট হয়। এছাড়া, ১৯৯১ সালের গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি থেকে আবারও প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়।
প্রথম গণভোটে রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং তার কর্মসূচিগুলোর ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা হয়। দ্বিতীয়বার ১৯৮৫ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনও গণভোটে বৈধতা পায়।
এরপর আওয়ামী লীগ আমলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট বাতিল হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর ওই সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং গণভোট পুনর্বহাল করে রায় দেয় হাইকোর্ট।’
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোট একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণভোট হচ্ছে জনগণের মতামতের প্রতিফলন। তাই অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য গণভোটের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন এবং গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে গণভোটের বিধান রয়েছে। তবে চাইলেই যেকোন বিষয়ে গণভোট করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের আট, আটচল্লিশ, ছাপান্ন এবং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে গণভোট প্রয়োজন হবে। অন্য অনুচ্ছেদগুলো সংশোধন করতে এর প্রয়োজন নেই। অতএব গণভোট সীমিত বলে বোঝা যাচ্ছে।
অপরদিকে সংস্কার কমিশনও গণভোটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। তবে এর সুষ্ঠু প্রয়োগের ওপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
/এআই/আরএইচ
Leave a reply