স্টাফের সহায়তায় সরকারি ইনজেকশন পাচারকালে আটক ১

|

ইনজেকশনসহ আটক ফরহাদ ও ইনসেটে অভিযুক্ত সরকারি স্টাফ সুমন।

মেডিকেল করেসপনডেন্ট:

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৪৮৮ পিস ডিন্টিল ওয়াটার ইনজেকশনসহ ফরহাদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সরকারি স্টাফ সুমন পলাতক রয়েছে এবং ফরহাদকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সুমনকে বহির্বিভাগ থেকে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমন্ডার (পিসি) মো. সেলিম বলেন ,বহির্বিভাগে ডিউটি করার সময় আমাদের একজন আনসার দেখতে পায়, এক ব্যক্তি বড় ব্যাগ নিয়ে গেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরে তাকে ব্যাগ খুলতে বলা হলে ব্যাগের ভেতরে সরকারি অনেক ইনজেকশন দেখা যায়। পরে তাকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে নিয়ে আসা হয়। তার ওই ব্যাগে ৪৮৮ পিস ডিসটিল ওয়াটার ইনজেকশন পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফরহাদ জানায়, ২২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সরকারি স্টাফ সুমন নামে একজন তাকে এই ব্যাগটি বহির্বিভাগের বাইরে নিয়ে যেতে বলে। পরে আমরা পরিচালককে বিষয়টি জানালে তিনি অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে পুলিশে দিতে বলেন। পরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমানসহ আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করি।

আটক ফরহাদ বলেন, আমার পায়ে ব্যথা। ২২০ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি স্টাফ সুমন আমাকে ফোন দিয়ে চিকিৎসার জন্য আসতে বলে।পরে সুমনের সাথে দেখা হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে ২২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি ব্যাগ হাতে দিয়ে বহির্বিবিভাগের বাহিরে একজন দাঁড়িয়ে আছে জানিয়ে তাকে দিয়ে আসতে বলে। পরে আমাকে আনসার সদস্যরা বহির্বিভাগের গেট থেকে আটক করে। এই ব্যাগে কি আছে সে বিষয়টি আমি জানতাম না। পরে আনসার সদস্যরা আমার ব্যাগে ৪৮৮ পিস ইনজেকশন পায়।

সে আরও জানায়, তার বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। বর্তমানে লালবাগ কেল্লার মোড় এলাকায় থাকেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বলেন, ওই ইনজেকশনসহ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিচালকের নির্দেশে বাদী হয়ে ফরহাদ ও সরকারি স্টাফ সুমনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছি। আটক ফরহাদ জানিয়েছে সে সরকার স্টাফ সুমনের কাছ থেকে সব ইনজেকশন নিয়ে বাহিরে পাচার করছিল।

এদিকে মেডিসিন স্টোরের ডা.সাইয়‍্যাদুল্লাহ জানান, আমরা সাধারণত সরাসরি এই ডিস্ট্রিক্ট ওয়াটার কিনি না। এটা ঔষধের সাথেই থাকে। তবে ৪৮৮ পিস ইনজেকশনের ডিসটিল ওয়াটার কিভাবে আসলো সে বিষয়টি যে দিয়েছে সে বলতে পারবেন।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply