তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বিষয়ে সম্প্রতি ওমানে বৈঠক করেছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। তাতে গঠনমূলক ও ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি উভয় পক্ষের। তবে তিন ঘণ্টার বৈঠকে আলোচনার বিস্তারিত খোলাসা করেনি কেউ-ই।
তবে সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, প্রথম বৈঠকেই যুক্তরাষ্ট্রকে তিন ধাপের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির অন্তত তিন কূটনীতিকের বরাতে এই দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
চুক্তির প্রথম ধাপে সাময়িকভাবে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মাত্রা তিন দশমিক ছয় সাত শতাংশে কমিয়ে আনবে ইরান। বিনিময়ে জব্দকৃত সম্পদ ব্যবহার ও যুক্তরাষ্ট্রে তেল রফতানির অনুমতি চায় তারা।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেশটিতে এখন পর্যন্ত মজুদ রয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম। আর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজন ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
প্রস্তাবিত চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করবে ইরান। পাশাপাশি দেশটির ঘোষিত ও অঘোষিত নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিতে জাতিসংঘের আনবিক সংস্থাকে নিয়মিত পরিদর্শনের অনুমতিও দেয়া হবে। যেকোনো সময় আকস্মিক পরিদর্শনেও যেতে পারবে সংস্থাটি। বিনিময়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় তেহরান।
এছাড়া ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স যেন জাতিসংঘে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে অবস্থান না নেয় সেটিও নিশ্চিত করার শর্ত দেয়া হয়েছে।
শেষ ধাপে মার্কিন কংগ্রেসে পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদনের শর্ত দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রত্যাহার করতে হবে তাদের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা। এই ধাপে উচ্চমাত্রা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তরে রাজি ইরান।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের দাবি, বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির উত্থাপিত প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ।
/এমএইচআর/এমএন
Leave a reply