আইসিসি নারী বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে থাইল্যান্ডকে হারানোর সুবাদেই বিশ্বকাপ যাত্রা নিশ্চিত হয় তাদের। তবে পাকিস্তানের এই সাফল্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের জন্য।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের দলকে পাকিস্তানে খেলতে পাঠায়নি ভারত। এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। ভারত খেলেছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এ্ররপর পাকিস্তান তাদের দলকে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পাঠায়। কিন্তু পাকিস্তানে আয়োজিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আবার একই কাজ করে ভারত। দেশটির সরকার নিজেদের খেলোয়াড়দের পাকিস্তান যাত্রার ছাড়পত্র দিতে আপত্তি জানায়।
ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে দুবাইয়ে, ফলে গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি খেলতেও পাকিস্তান দলকে যেতে হয়েছে দুবাই।
তবে বছর দেড়েক আগের এশিয়া কাপের ঝক্কির সঙ্গে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের নাটকের পর পাকিস্তান আর সহজে ছাড়েনি। জুড়ে দিয়েছে নিজেদের তরফ থেকেও একটি শর্ত।
শর্তটা এই, ২০২৭ পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির ইভেন্টগুলোতে ভারত যেমন দল পাঠাবে না, তেমনি ভারতের মাটিতে আইসিসির ইভেন্টগুলোতে পাকিস্তানও তাদের দল পাঠাবে না! অর্থাৎ, ভারত ও পাকিস্তানের মাটিতে সব টুর্নামেন্টই হবে হাইব্রিড মডেলে।
ফলে, এবার মেয়েদের বিশ্বকাপে পাকিস্তান জায়গা নিশ্চিত করতেই এটাও নিশ্চিত হয়ে গেল যে, ভারতকে এখন হাইব্রিড মডেলে যেতে হবে। পাকিস্তানের ম্যাচগুলো ভারতের বাইরে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর মেয়েদের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে যেহেতু একটি দল বাকি সব দলের সঙ্গেই খেলবে, তার মানে ভারত ও পাকিস্তান একটা ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ফলে সে ম্যাচটিও ভারতের বাইরে নিরপেক্ষ সেই ভেন্যুতে গিয়েই খেলতে হবে ভারতের দলকে! পাকিস্তান যদি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল-ফাইনালে উঠে যায়, সে ম্যাচগুলোও হবে ভারতের বাইরে।
উল্লেখ্য, নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কোন দেশকে বেছে নেয়া হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। প্রতিবেশী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে আরেকবার ভুগতে হবে ক্রিকেটকে।
/এমএইচআর
Leave a reply