তৌহিদ হোসেন:
ট্যানারি ব্যবসায় এখন আর আগের জৌলুস নেই। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এই শিল্পনগরী এখনও পরিবেশবান্ধব নয়। তাই লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদ পাচ্ছে না এখানকার কোনও ট্যানারি। ফলে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে নামিদামি সব ব্র্যান্ড। তাই সাভারে ট্যানারি পল্লীতে নামমাত্র উৎপাদনে আছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠান। কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি ১২টি।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের ট্যানারিতে এখন চীনাদের একচেটিয়া দাপট। প্রতি বর্গফুট গড়ে ৫০ সেন্ট দরে কিনে বাংলাদেশি চামড়া তারা রফতানি করে দিচ্ছে পশ্চিমা দেশে। কিন্তু চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের খবরে এখন আগের অর্ডার বুঝে নিচ্ছেন না তারা।
ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এভাবে চললে কোরবানির ঈদে নতুন চামড়া কেনার উপায় থাকবে না। বিপত্তি আছে ব্যাংক ঋণ নিয়েও।
এবিএস ট্যানারির স্বত্বাধিকারী ইমাম হোসেন বলেন, প্যাকিং করে অনেক মালামাল পড়ে আছে। ফ্যাক্টরিতে চামড়া ভরা। আমাদের বিক্রির লাইন তো নাই। আবার ব্যাংকিং সিস্টেম পরিবর্তন হইছে। ব্যাংকগুলো আগে দুই নাম্বার করতে করতে এখন অরজিনাল কাজ ওরা করে না।
লিয়েন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহ ইমরান পাটোয়ারী বলেন, অধিকাংশ ট্যানারিতেই বছরে ৯০-১০০ দিন কাজ থাকে না।
কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে এক দশক ধরে দেন দরবার করছে শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। নতুন নির্বাহী কমিটির এই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি, সিইটিপি ইস্যুতে নতুন সরকারের সাথে আলোচনা করেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
বিটিএ এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সিটিপি বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে এলডব্লিউজি স্ট্যাটার্ন্ড করে দেয়া হয়েছে, আমাদের একটাই দাবি এটি ঠিক করে দেয়ার, আর কোনও সহযোগিতার দরকার নেই। যদি এটা করা হয় চামড়া শিল্প ঘুরে দাঁড়াবেই।
এদিকে, চামড়া শিল্পনগরীর কঠিন বর্জ্য থেকে নদী ও মাটি দূষণ ঠেকাতে ‘সেইফ ল্যান্ডফিল’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
/এমএন
Leave a reply