রেলস্টেশনের জমির দোকান দখল নিয়ে বিরোধ, দুই নারীকে মারধর

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সালদানদী রেলস্টেশনের জমিতে অবস্থিত দোকানের জোরপূর্বক দখল নিতে দুই নারীকে মারধর ও রক্তাক্ত করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আল মামুন ও ওয়াদুদ রনির নেতৃত্বে একদিল সন্ত্রাসী।

রোববার (১ জুন) এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সম্প্রতি এ ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী দুই নারী হলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার উত্তর বাগড়া গ্রামের ওসমান গনির স্ত্রী শারমিন আক্তার ও রফিক মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আহত শারমিন আক্তারের স্বামী ওসমান গনি ১৪ বছর ধরে সালদানদী রেলস্টেশনের ওই দোকানে ব্যবসা করে আসছে। কিছুদিন আগে তার স্বামী জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যায়। এরপর থেকে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার দোকানটি পরিচালনা করে আসছিল।

সম্প্রতি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আল মামুন মিয়া তার দলবল নিয়ে ওই দোকানটি দখলের চেষ্টা চালায়। পরে দখল করতে না পেরে ওই নারীর কাছে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত মাসের ১৩ তারিখে দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এবং ১৫ দিনের মধ্যে দোকান ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

দোকান না ছাড়ায় গত রোববার (১ জুন) বিকেলে আবারও দলবল নিয়ে ইউপি সদস্য ওই নারীর উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা শারমিন আক্তার ও শিরিন আক্তারকে মারধর করে মারাত্মকভাবে জখম করে। সেইসাথে দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ সময়, ভুক্তভোগী দুই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল মামুন মিয়া জানান, ওই নারীর সাথে দোকান নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও করা হয়েছে। তবে হামলা, মারধর ও লুটপাটের সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, হামলা ও মারধরের ঘটনায় শারমিন আক্তার বাদী হয়ে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলী আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক মমিনুল হক বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

/এএইচএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply