কোরবানির ঈদে ভোজের পর পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি? বিশেষজ্ঞরা দিলেন ৫ পরামর্শ

|

ঈদুল আজহার ভোজ মানেই সুস্বাদু মাংস, বিরিয়ানি, মিষ্টান্ন আর ঠান্ডা পানীয়ে ভরপুর এক আনন্দঘন সময়। তবে এই খুশির খাবার বেশি খেলে অনেক সময় পেটে গ্যাস, ফাঁপা ভাব, অম্বল ও হজমে সমস্যা দেখা দেয়। একবারে বেশি তেল-চর্বি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া আমাদের হজমের ওপর বড় ধকল ফেলে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

খাবারের ধরনেই বাড়ে গ্যাস্ট্রিক ও অস্বস্তি:

দুবাইয়ের ফাংশনাল নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জুসেপ্পে বেলুচ্চি গালফ নিউজ‘কে বলেন, ঈদের মতো উৎসবে সাধারণত আমরা ভাজা-পোড়া, তেলঝাল ও ভারী খাবার বেশি খাই। এর ফলে পেটে গ্যাস, অম্বল, হজমে ধীরগতি ও পেট ফাঁপা দেখা দেয়। তিনি আরও বলেন, একবারে অতিরিক্ত খাওয়া হজমের গতি কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীতে চাপ সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞান কী বলে এই সমস্যা নিয়ে?

২০২৩ সালে ক্লিনিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবারের পরিমাণ ও ধরন অনুযায়ী পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণে পরিবর্তন আসে। ভারী খাবার অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও অম্বলের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে ছোট ছোট পরিমাণে ফাইবার ও প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার হজমকে সহজ করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হজম ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিকের গুরুত্ব:

ঈদের মতো উৎসবের পরে হজম ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার খুবই উপকারী বলে জানিয়েছেন কর্নারস্টোন ক্লিনিকের সার্জন জিওভান্নি লিওনেত্তি। তিনি বলেন, প্রোবায়োটিক উপাদানসমূহ পাকস্থলীর ভালো ব্যাকটেরিয়া রক্ষা করে, হজমে সহায়তা করে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।

যেসব প্রোবায়োটিক খাবার ঈদের ভোজে রাখতে পারেন:

  • দই: হজমে সহায়তা করে, পেট ফাঁপা কমায়
  • কেফির: ইয়োগার্টের মতো পানীয় যা হজমবান্ধব
  • ফারমেন্টেড সবজি (যেমন আচার): উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়
  • মাঠা (বাটারমিল্ক): হজম সহজ করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখে

লিওনেত্তি আরও বলেন, এই ধরনের খাবার শুধু হজমে সহায়তা করে না, বরং শরীরে পুষ্টি উপাদান ঠিকভাবে শোষণ হতেও সাহায্য করে।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply