ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য ডেস্কে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা। বাধ্যতামুলক করা হয়েছে মাস্ক ব্যবহার।
রোববার (৮ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পদক্ষেপের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এতে জানানো হয়, ইমিগ্রেশনের প্রবেশস্থলে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিভিন্ন সরঞ্জাম। থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লাভসের মজুদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া, যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত মে মাস থেকে দেশেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়েছে ‘এনবি.১.৮.১’ নামের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এটি ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকংসহ একাধিক দেশে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা আশ্বস্ত করছেন, করোনা বাড়তে থাকলেও পরিস্থিতি এখনও ভীতিকর নয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৬।
রোববার (৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
/এএম
Leave a reply