
গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় গাজার দক্ষিণে নিহত হয়েছেন ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ খ্যাত ফুটবলার সুলাইমান আল-ওবাইদ। সম্প্রতি, সুলাইমানকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে উয়েফা (ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা)। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আল-ওবাইদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না করা এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ না করায় অনলাইনে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংস্থাটি।
সাংবাদিক আহমেদ শিহাব-এলদিন এক্সে লিখেছেন: ‘লজ্জার বিষয়! উয়েফা বলছে না কীভাবে ইসরায়েল সুলাইমানকে হত্যা করলো। যখন সে তার ক্ষুধার্ত সন্তানদের জন্য খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়েছিল, তখনই ইসরায়েলি বাহিনী তাকে হত্যা করে!’
৪১ বছর বয়সী আল-ওবাইদ তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১০০’র-ও বেশি গোল করেন, যা তাকে ফিলিস্তিনি ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল তারকায় পরিণত করেছিল।
১৯৮৪ সালের ২৪ মার্চ গাজায় জন্ম নেয়া ওবাইদ খাদামাত আল-শাতি ক্লাবের হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি দখলকৃত পশ্চিম তীরের মারকাজ শাবাব আল-আম’রি এবং গাজা স্পোর্ট ক্লাবেও খেলেন।
২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর তিনি ফিলিস্তিনি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২৪ বার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে দুটি গোল করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ছিল ২০১০ সালের পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে একটি ‘সিসার-কিক’ গোল।
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসবিদ ও ডনের গবেষণা সহকারী আসাল রাদ এক্সে লিখেছেন, ‘বিদায় বলার মানে মনে হয় সুলাইমান বার্ধক্য বা স্বাভাবিক কারণে মারা গেছে। আসলে তাকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।’
ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় ফুটবল সম্প্রদায়ের ৩২১ জন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা।
/এআই
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply