Site icon Jamuna Television

বাঘ আতঙ্ক, পুলিশ মোতায়েন, মসজিদ মাইকে ঘোষণা

দুটি মেছো বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ফুলকুচি ও পাশের রসকাটি গ্রাম। শনিবার মধ্য রাত থেকে বাঘ দুটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী।

শনিবার রাতে বাড়ির পাশে ধনঞ্চে খেতে বাঘ দুটি দেখে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোরাদ আলী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারাও বাঘ দুটিকে এলাকায় বিভিন্ন ঝোঁপ-জঙ্গলে ঘুরাফেরা করতে দেখেন।

রাতে এলাকাবাসীকে সাবধান করতে বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। বলা হয়, এলাকায় বাঘ দেখা গেছে রাতের অন্ধকারে কেউ একা বের হবেন না। দলবদ্ধভাবে রাস্তায় বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় জনগণকে।

রাতে লৌহজং থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়, বাঘ আতংকিত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করার জন্য। সারা রাত এলাকায় পুলিশ পাহারা চলে।

রোববার সকালে ফুলকুচি ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম রসকাটি এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার যুবক, কিশোর ও বয়স্ক অনেকেই দল বেঁধে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন।

ফুলকুচি গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, সকালেও ফুলকুচি গ্রামের কবরস্থানের সামনে একটি ধনঞ্চে খেতে বাঘ দুটিকে অনেকে দেখতে পেয়েছেন।

ফুলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর নাহার জানান,বাঘ আতঙ্কে অনেক বাচ্চা আজকে স্কুলে আসতে দেয়নি অভিভাবকরা। যারা স্কুলে এসেছে তাদের আমরা স্কুলের আঙ্গিনার মধ্যে রাখছি বাইরে যেতে দিচ্ছি না।

স্কুল থেকে বের হয়ে দেখা গেছে, এক অভিভাবক হাতে লাঠি নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাঘের কথা শুনার পর বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে গিয়েছিলাম লাঠি হাতে নিয়ে।

এলাকার ছোট ছোট বাজার ও দোকানপাটে লোকের সমাগম অন্যান্য দিনের চেয়ে কম দেখা গেছে।

এই বিষয়ে এলাকাবাসী মাকসুদ জানান, শনিবার রাত থেকে এই এলাকায় দুটি বড় রকমের মেছো বাঘ দেখা যাওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বাঘ দুটিকে ধরতে বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে, বন কর্মকর্তারা দ্রুত আসবেন বাঘ দুটি ধরতে। তবে মেছো বাঘ দুটি হিংস্র নয়, তার কারণ ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তারা কোনো মানুষকে ক্ষতি করেনি।

Exit mobile version